সাইফ উল্লাহ স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জরে জামালগঞ্জ উপজেলায় দুর্লভপুর নৌকাঘাটে চাঁদাবাজীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী বৃহস্পতিবার দুর্লভপুর নৌঘাটে চাদাবাজীর বিরোদ্ধে জামালগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ থেকে জানাযায়, জামালগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুরে বালু-পাথরের ব্যবসাকে কন্দ্রে করে দুর্লভপুরের রক্তি নদী ও সুরমা নদীতে চলন্ত নৌকায় ব্যাপক চাদাবাজী হয়।
সম্প্রতি র্যাব -৯ দুইবার অভিযান চালিয়ে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে। দুর্লভপুর বালি-পাথর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুটি ইজারা বিদ্যমান।একটি উপজেলা পরিষদ থেকে দুর্লভপুর নৌকাঘাট। যা উপজেলা পরিষদ ইতিমধ্যে ইজারা বন্দোবস্ত হয়েছে। অপরটি বিআইডব্লিও আশুগঞ্জ থেকে ইজারা দেয়া হয়। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৩ কিলো মিটার দুরে এই ব্যবসা কেন্দ্রর অবস্থান। র্যাবের অভিযানের পরেও পুরোদমে চাদাবাজী চলমান। উপজেলা সদরের অতি নিকটে এই বেপরোয়া চাদাব্জী বন্দে করনীয় বিষয়ে আরো আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত পুলিশের একট টহল টিম থাকে। পুলিশ একপ্রান্তে থাকলে তারা অন্যপ্রান্তে চাদাবাজী করে। উপজেলা পরিষদের লিজ প্রক্রিয়ার শর্তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- লিজ গ্রহিতা প্রাপ্তির পর দৃশ্যমান জায়গায় টোল আদায়ের হার সম্বলিত সাইন বোর্ড স্থাপন করিবেন। এর ব্যর্খ হলে লিজ প্রক্রিয়া বিনা ক্ষতি পূরণে বাতিল হবে। লিজ প্রাপ্তির ৬ (ছয়) মাস পরও কোন সাইন বোর্ড দেখা যায়নি। নদীতে চলন্ত নৌকা হতে প্রতি নৌকায় ১৫ শত হতে ২ হাজার টাকা করে প্রতিদিন দেড় লক্ষ টাকা হতে দুই লক্ষ টাকা চাদা আদায় করছে।
উপরোক্ত এহেন অনৈতিক চাদাবাজী বন্দে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগীরে পক্ষে জোর সুপারিশ জানান উপজেলা পরিষদ ভাই চেয়ারম্যান।
এব্যাপারে অভিযোগকারী জামালগঞ্জ উপজেলঅ পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী বলেন, পুলিশ-র্যাব, অভিযান চালিয়েও চাদাবাজী বন্দ করা যাচ্ছেনা এছাড়া বিভিন্ন প্রত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার চাদাবাজী খবর প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্দ হচ্ছে না।
কিছুদনি পূর্বে চাদাবাজদের চাদাবাজী বন্ধ করার জন্য এলকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। কোন অদৃষ্টের ছায়ায় প্রতিনিহত চাদাবাজী চলছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোরদাবী জানাচ্ছি চাদাবাজী বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, দুর্লভপুরের রক্তি ও সুরমা নদীতে চাদাবাজীর অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত করে, চাঁদাবাজদের, আইনের আওতায় আনা হবে।
কমেন্ট করুন